নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি ভারতের প্রভাববলয় থেকে বেরিয়ে চীনের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চান। তাঁর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে তিনি এই সপ্তাহে চীন সফরে গেছেন, যা নেপাল-চীন সম্পর্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
গত ৪ ডিসেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে চীন নেপালের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে। চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এ সই করার পরেও কাঠমান্ডু প্রকল্প বাস্তবায়নে খুব কম অগ্রগতি দেখিয়েছে, কিন্তু চীন নেপালকে স্থলবেষ্টিত দেশ থেকে স্থল-সংযুক্ত দেশে রূপান্তর করতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
নেপাল বর্তমানে ভারত থেকে অধিকতর অর্থনৈতিক সাহায্য পায়, তবে চীনও বড় ঋণদাতা হিসেবে উঠে এসেছে। ২০১৬ সালে নেপাল চীনের সঙ্গে একটি পেট্রোলিয়াম চুক্তি সই করে, যা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ ছিল। চীন নেপালের জন্য বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে ঋণ প্রদান করছে, যেমন পোখরা বিমানবন্দর নির্মাণে ২১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে।
তবে, অলির চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার উদ্যোগ কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে। পোখরা বিমানবন্দর চালু হওয়ার পর থেকে ভারত তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য সেভাবে কার্যকর হয়নি। এদিকে, অলির নিজ দল এবং সরকারী জোটের মধ্যে ঋণ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, বিশেষ করে বড় অংশীদার নেপালি কংগ্রেস পার্টি ঋণ নিয়ে প্রকল্পের বিরোধী।
সর্বশেষ, অলির এই চীন সফরের মাধ্যমে তাঁর লক্ষ্য ভারতীয় প্রভাব থেকে বেরিয়ে চীনের সঙ্গে আরো শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত সম্পর্ক স্থাপন করা, যা নেপালের আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক অবস্থানকে পুনর্গঠন করবে।